প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পরপরই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু। তবে টোল দিয়ে যানবাহন চলবে উদ্বোধনের পরদিন ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে। দেশের সবচেয়ে বড় এই সেতুতে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দেওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। এমনকী সিএনজি অটোরিকশাসহ তিন চাকার যানবাহনও চলতে পারবে না পদ্মা সেতুতে।
গত ৪ জুন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী (কারিগরি) কাজী মো. ফেরদাউস ভেল্কি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সিএনজি অটোরিকশাসহ তিন চাকার কোনো যানবাহন পদ্মা সেতুতে চলাচল করতে পারবে না।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সেতুতে ১৩ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। নসিমন, করিমন, ভটভটি ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে না। এমনকি হেঁটেও মানুষ যাতায়াত করতে পারবেন না।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (সেতু ও সড়ক) শাহ মো. মুসা ভেল্কি নিউজকে বলেন, হেঁটে সেতু পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া কেউ সাইকেল নিয়েও পার হতে পারবে না। সেতুর উপর দিয়ে কোন যানবাহন পার হতে পারবে ও টোল কত সবকিছুর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আপনি দেখে থাকবেন এর মধ্যে কিন্তু সাইকেল নেই।
তিনি আরও বলেন, সেতুর উপর দিয়ে গতিতে যানবাহন চলবে। কেউ যদি পায়ে হেঁটে যায় বা স্লো মুভিং কিছু যায়, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এসব কথা বিবেচনা করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা, কার বা জিপে ৭৫০ টাকা, পিকআপ ভ্যানে ১ হাজার ২০০ টাকা, মাইক্রোবাসে ১ হাজার ৩০০ টাকা, ছোট বাসে (৩১ আসন বা এর কম) ১ হাজার ৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি) ২ হাজার টাকা, বড় বাসে (৩ এক্সেল) ২ হাজার ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, ছোট ট্রাকে (৫ টন পর্যন্ত) ১ হাজার ৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাকে (৫ টনের বেশি থেকে ৮ টন) ২ হাজার ১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ টনের বেশি থেকে ১১ টন পর্যন্ত) ২ হাজার ৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) ৬ হাজার টাকা ও টেইলর (৪ এক্সেলের বেশি) ৬ হাজারের সঙ্গে প্রতি এক্সেলে ১ হাজার ৫০০ টাকা করে যোগ করে টোল দিতে হবে। এর মধ্যে সাইকেলের কথা উল্লেখ নেই।