লাইকোপিন’য়ের কারণে টমেটোর রং লাল হয়, আর এই উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
কোমল পানীয় পরিবর্তে তাজা টমেটোর রস পান করা সার্বিকভাবেই উপকারী।
বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার হতে পারে। তবে কিছু পদক্ষেপ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। যেমন- সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলা, সানস্ক্রিন ব্যবহার ইত্যাদি নির্দিষ্ট কিছু ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
এমন আরেকটি সহজ উপায় হল টমেটোর জুস পান করা।
টমেটোতে আছে লাইকোপেন যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্তচাপ কমায়। এছাড়াও এটা মূত্রথলির ক্যান্সার-সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘অলিভ ব্রাঞ্চ নিউট্রিশন’য়ের পুষ্টিবিদ লিন্ডসে ওয়েঙ্গলার’য়ের ভাষায়, “টমেটোর রস ক্যারোটিনয়েড ও লাইকোপিনের চমৎকার উৎস। এটাই টমেটোকে তাদের উজ্জ্বল লাল রং দেয়, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
ইটদিস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “প্রদাহ এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়।”
লাইকোপিন কেবল নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে না, বরং ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ব্রাজিলের ‘ইউনিভার্সিডেইড ফেডারেল দো রিও দে জেনেরিও’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, লাইকোপিন প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোষগুলোকে মেরে ফেলতে কার্যক ভূমিকা রাখে।
রোমের মেডিকেল স্কুলের ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
যেখানে বলা হয়, লাইকোপিন মানুষের মধ্যে ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ থামাতে পারে। গবেষণায় স্তন, মূত্রথলি, পাকস্থলী, পায়ূ এবং মুখের ক্যান্সার-সহ অসংখ্য ক্যান্সারের ধরণ নির্ণয় করা রোগীদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল।
তার মানে এই নয় যে, ক্যান্সারের চিকিৎসা বাদ দিয়ে টমেটোর ওপরে নির্ভরতা বাড়াতে হবে। তবে এতে লাইকোপিন থাকায় টমেটো, টমেটোর জুস ও এর তৈরি যে কোনো খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
তবে ওয়েঙ্গলার মনে করেন, টমেটোর তৈরি যে কোনো খাবার এক্ষেত্রে কাজ করলেও টমেটোর জুস সবচেয়ে বেশি এগিয়ে।
তার কথায়, “টমেটোতে পাওয়া লাইকোপিন টমেটোর রসে ঘনীভূত হয় এবং রান্নার ফলে তা আরও শক্তিশালী হয়, যা প্রতি আট-আউন্স গ্লাসে ২৩ মি.লি. গ্রাম লাইকোপিন সরবরাহ করে।”
টমেটো খাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল এর রস পান করা, এতে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়।
তাজা টমেটোর রসের পুষ্টিমান সবচেয়ে বেশি। বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এমন জুসে বাড়তি শর্করা যোগ করা থাকে। তাই সেগুলো বাদ দিয়ে তাজা রস খাওয়াই উপকারী।