বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, বিএনপির তো নেতাই নাই, বিএনপির প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে হলে আমাদের জবাব খুব পরিষ্কার, আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের নেতা। তিন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, তিনি আগামীতে প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তার অনুপস্থিতিতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব প্রধানমন্ত্রী হবেন।
বুধবার (২২জুন) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখানে আমাদের দলে নেতৃত্বের কোনো সমস্যা নেই। এটা পুরোপুরিভাবে নির্ধারিত। বিএনপিতে কোনো নেতৃত্বের সংকট নেই। এটা সরকার প্রচার করছে বিভিন্নভাবে মানুষকে প্রতারিত করবার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বরং তাদেরই সংকট আছে। একমাত্র শেখ হাসিনা ছাড়া তো তাদের কেউ নেই। তাদের সংকট তো বেশি। উনি চলে গেলে কে হবেন? তা নিয়ে কী যুদ্ধ হয় সেটা তারাই বলতে পারবেন।
তারেক রহমান বিদেশি নাগরিকত্ব নেননি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়েছেন-এটা একেবারেই মিথ্যা কথা। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব যুক্তরাজ্যে এসাইলামে আছেন। এটা খুব পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, এটাতে কোনো রাগ-ঢাক নেই। তিনি কোনো নাগরিকত্ব চাননি, ব্রিটেনে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনও করেননি। তিনি আছেন যুক্তরাজ্যে, এসাইলামে আছেন। এসাইলাম ছাড়া তো উপায় নেই। কারণ এরা (সরকার) পাসপোর্ট রিনিউ করে না। সুতরাং এই সমস্ত মিথ্যা কথা বলে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। বাজে কথা বলার তো যুক্তি নাই।
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তার সম্পর্কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করায় সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব।