বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পূর্তি হলো আজ। ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগু’না সরকারি কলেজের সামনে বন্ড বাহিনীর হামলায় নিহত হন রিফাত শরীফ।
এ ঘটনায় নিহত রিফাতের স্ত্রী’ আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর থেকেই কারাগারে আছেন মিন্নি।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মিন্নিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে এ কারাগারেই রয়েছেন তিনি।
করোনার কারণে বন্দীদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় প্রতি সপ্তাহে একবার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান মিন্নি।
এদিকে, মিন্নি অসুস্থ বলে জানিয়েছেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মিন্নির দাঁতে ব্যথা ও মাথা ব্যথাসহ অন্যান্য অনেক উপসর্গ আছে।
মিন্নি খেতে পারে না, ঘুমাতে পারে না। সব সময় অসুস্থ থাকে।
তাই খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। কারাগারের পানি পর্যন্ত ওর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট হয় না।
মিন্নির চিকিৎসার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ আবেদন অনুমোদিত হলে মিন্নিকে বাহিরে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে মিন্নিকে চেনা এখন দুষ্কর ব্যাপার। মিন্নি কোনদিন কোনো অভাব দেখেনি। ওর খাওয়ার অভাব ছিল না,পরার অভাব ছিল না, কোনো শূন্যতাও ছিল না।
মিন্নিকে আমি কলেজে নিয়ে যেতাম আবার কলেজ থেকে নিয়ে আসতাম। কেউ বলতে পারবে না- কোনোদিন মিন্নি একা বাহিরে বের হয়েছে।
মিন্নি আজ মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে। ওকে (মিন্নিকে) কারা’গারের সেলে আবদ্ধ থাকতে হয়। তাই খুব কষ্টে জীবনযাপন করছে মিন্নি।
যদিও মিন্নির অসুস্থতা ও চিকিৎসার বিষয়ে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।