ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি জীবনের মূহুর্তগুলোকে একটু বেশিই রঙিন করতে জানেন। বিভিন্ন উৎসবে-আয়োজনে দুষ্টু মিষ্টি কিংবা আবেগ মাখা কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ভক্তদের নজর কেড়ে থাকেন ‘গুণিন’ অভিনেত্রী।
আজ ‘১৪ এপ্রিল’ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকেও রাঙিয়ে নিলেন ফূর্তিবাজ এই নায়িকা। এদিন নিজের দুটি হাতকে মেহেদির রঙে রাঙিয়েছেন পরী। যেখানে ফুটে উঠেছে চমৎকার এক নকশাও। এরপর সেই ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গেও শেয়ার করে নিয়েছেন তিনি।
ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেহেদি রঙে দুহাত রাঙাতে পেরে ভীষণ খুশি পরী। এর জন্য তাকে দীর্ঘ সময় হাত নাড়াচাড়া না করে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে বলেও জানা যায় ছবির সঙ্গে তার দেওয়া ক্যাপশন থেকে।
পরীমণি লেখেন, ঘটা করে কোনো উৎসবে মেহেদি পরা এবারই প্রথম। কাল ঘুম থেকে উঠে মনে হলো আজ দুহাত ভরে মেহেদি পরা যায়! শুটিংয়ের তাড়া নেই। আর সাজুগুজুও করা হয় না কত দিন। তার জন্যে তো এখন নেহা আপুকে চাই। তার সাথে আমার হ্যালো হয়েছিলো আরও চার বছর আগে জিমিকে দিয়ে। সেই থেকে মেহেদি পরবো পরবো করে এই আজ পরতে পারলাম!
যিনি মেহেদি পরিয়ে দিয়েছেন তাকে উদ্দেশ্য করে এই নায়িকা বলেন, মেহেদি পরা যে এত কঠিন ধৈর্যের ব্যাপার বিশ্বাস করো নেহা আপু আমি বুঝতেই পারিনি। যদি একটু বুঝতে পারতাম! বাবারে তোমাদের ধৈর্যের কথা চিন্তা করে নিজে একটু শান্তনা পাই।
পরী আরও যোগ করেন, অনেক জ্বালিয়েছি তোমাদের সরি। এত বেশি নড়াচড়া করি না কিন্তু আমি। সব দোষ তোমাদের অনাগত মাম্মাটার!
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ বাসায় চেয়ার থেকে মাথা ঘুরে উল্টে পড়ে যান পরীমণি। এরপর হাসাপাতালে ভর্তি হন তিনি। সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন বাসায়। স্বামী শরিফুল রাজকে নিয়ে নায়িকা এখন অপেক্ষায় আছেন নিজের প্রথম সন্তানের মুখ দেখার।