ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা বাচোর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত শিশুর কুলখানিতে গিয়েছিলেন পুলিশের ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল ও এসিল্যান্ড ইন্দ্রজিৎ সাহা।
শুক্রবার মীরডাঙ্গী মহেষপুর গুচ্ছগ্রামে নিহত শিশুর বাড়িতে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
কুলখানিতে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্নাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বুধবার জেলার রানীশংকৈল উপজেলার তিনটি ইউপির ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বাচোর ইউপির ভাংবাড়ি ভিএফ নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। পরে নিবার্চনোত্তর এক সহিংসতায় পুলিশের গুলিতে বাদশা মিয়ার ৮ মাস বয়সের কন্যা শিশু সুরাইয়া মায়ের কোলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় বলে দাবি তার পরিবারের।
কুলখানি অনুষ্ঠানে ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হবে না। নির্ভয়ে আপনারা এলাকায় থাকুন। পরের কথায় কান না দিয়ে আপনাদের নিজের কাজে মনোনিবেশ করবেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না বলেন, এই কুলখানিতে জেলা প্রশাসক ও রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদসহ ওসি জাহিদ ইকবাল আর্থিক সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হলে প্রতিবাদ করা হবে।
আট মাসের শিশু সুরাইয়া হত্যার ঘটনা উদঘাটনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মণকে আহবায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা তারেক আহমেদ বেগ ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম।