মুম্বইয়ের হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দিলেন অভিনেত্রী। রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এইচএন রিলায়্যান্স হাসপাতালে আলিয়াকে ভর্তি করাতে নিয়ে যান রণবীর কপূর। স্বপ্নপূরণের আরও এক ধাপ। মা হলেন আলিয়া ভট্ট। সেই ছবি মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। তার পর প্রসববেদনা উঠলে প্রাকৃতিক নিয়মে সন্তানের জন্ম দেন ২৯ বছরের আলিয়া।
চলতি বছর এপ্রিলে গাঁটছড়া বাঁধেন জুটিতে। গত জুন মাসে সন্তান আগমনের সুখবর ভাগ করে নিয়েছিলেন রণলিয়া। আলিয়া তখন লন্ডনে। জীবনের প্রথম হলিউড ছবি ‘হার্ট অফ স্টোন’-এর শুটিংয়ে। হাসপাতালের শয্যা থেকে ছবি পোস্ট করেছিলেন হবু মা। তার ৫ মাসের মধ্যে পৃথিবীর আলো দেখল রণবীর-আলিয়ার প্রথম সন্তান। কপূর পরিবারে আনন্দ জোয়ার। এই দিনটির স্বপ্ন দেখছিলেন সোনি রাজদান, মহেশ ভট্ট, শাহীন থেকে শুরু করে নীতু কপূর। আর রণবীর? তিনি তো ভাল বাবা হওয়ার জন্য আগে থেকেই তৈরি!
আলিয়া হাসপাতালে পৌঁছানোর পরে একে একে রওনা দিয়েছিলেন কপূর এবং ভট্ট পরিবারের বাকি সদস্যরা। যে হেতু নরম্যাল ডেলিভারি চেয়েছেন অভিনেত্রী, প্রতীক্ষার প্রহর ছিল আরও দীর্ঘ। শেষমেশ বিলাসবহুল হাসপাতালের লেবার রুমে নবজাতকের কান্না শোনা গেল। কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন আলিয়া।
আগামী ২৮ নভেম্বর আলিয়ার ৩০ বছরের জন্মদিনে উৎসব হবে কপূর পরিবারে। নবজাতক আর তার মাকে ঘিরে ঘরোয়া পরিমণ্ডলে সেই উদ্যাপন অন্য মাত্রা নিতে চলেছে।
সকাল থেকেই গুঞ্জন ছিল। বেলা বাড়তেই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। মুম্বইয়ের ওই হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যে কোনও সময়ই হতে পারে আলিয়ার সন্তান। হলও তাই। চিকিৎসকের এই কথা জানা যাওয়ার পরই দেখা যায়, হাসপাতালে এসে পৌঁছেছেন আলিয়ার মা সোনি রাজদান, রণবীরের মা নীতু কপূর। দাদু হতে চলা মহেশ ভট্টের উচ্ছ্বাস আর ধরে না। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বললেন, ‘নতুন সূর্য ওঠার অপেক্ষা। তরতাজা শিশিরের মতো নতুন জীবনের স্পন্দন আসতে চলেছে।’