স্ত্রীকে সন্তানসম্ভবা করার জন্য এক কারাবন্দিকে ১৫ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। নন্দলাল নামের ওই ব্যক্তি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। স্বাভাবিকভাবেই তার কঠোর বন্দিদশা নিয়ে চরম অসন্তুষ্ট ছিলেন স্ত্রী। এরপর সন্তানসম্ভবা হওয়ার জন্য স্বামীর মুক্তি চেয়ে যোধপুর আদালতে আবেদন করে বসেন ওই নারী।
আবেদনে কারাবন্দির স্ত্রী বলেন, “আমি সন্তানসম্ভবা হতে চাই, আমার সন্তানসম্ভবা হওয়ার অধিকার আছে। তাই আমার স্বামীকে মুক্তি দিতে হবে।” তার সেই আবেদনের ভিত্তিতেই শেষপর্যন্ত নন্দলালকে ১৫ দিনের প্যারোলে ছুটি দিতে বাধ্য হয় যোধপুর আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
যোধপুর আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি সন্দীপ মেহেতা এবং ফারজাদ আলি মেনে নিয়েছেন যে, নন্দলাল জেলবন্দি থাকার জেরে তার স্ত্রী মানসিক এবং শারীরিক সুখ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাছাড়া ভারতের সংবিধান “বংশরক্ষার অধিকার”কে স্বীকৃতি দেয়।
শুধু তাই নয়, হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন সব ধর্মেই বংশরক্ষার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তাই ওই মহিলাকেও বংশরক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়নি যোধপুর হাইকোর্ট।
তাছাড়া দুই বিচারপতি যুক্তি দিয়েছেন, ভারতের সংবিধান “বংশরক্ষার অধিকার”কে স্বীকৃতি দেয়। পাশাপাশি ওই ব্যক্তি যেন জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, সেটাও নিশ্চিত করতে চাইছিল দুই বিচারপতি।
তাই সবদিক বিচার-বিবেচনা করেই ওই ব্যক্তির ১৫ দিনের জন্য প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর আগেও অবশ্য ২০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন নন্দলাল। সে সময় প্যারোলের সব শর্ত পূরণ করেন তিনি। সেই রেকর্ডও তার পক্ষে গেছে।