‘বইন সিয়ামের তো অবস্থা খারাপ, শরীর চেনা যাচ্ছে না। সব থেঁতলে গেছে।
তুই আইসাও কিছু হইব না। সিয়াম তো বাঁচবে না। ’
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে মোবাইল ফোনে ভাতিজার খবর বোনকে এভাবেই দিচ্ছিলেন সিয়ামের চাচা। জানতে চাইলে ভেল্কিনিউজকে তিনি বলেন, আমার ভাতিজার অবস্থা খুবই খারাপ। আমি দেখে আসছি। কিন্তু চেনা যাচ্ছে না। আমি এখন ছবি প্রিন্ট করে আনতে যাচ্ছি। ছবির সাথে মিলিয়ে শনাক্ত করতে হবে।
কিছুক্ষণ পরেই আসেন সিয়ামের বাবা। ভেল্কিনিউজকে বলেন, আমরা তিন জন (সিয়াম, সিয়ামের বাবা, চাচা) পাশাপাশি স্যানিটারির দোকানে চাকরি করতাম। আমার ছেলের দোকান থেকে বের হয়ে সামনে যেতেই বিস্ফোরণ হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্ট্রেচার হাতে স্বাস্থ্যকর্মীরা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষা করছেন। থেমে থেমে আসা আহত রোগীদের নিয়ে দ্রুতই ছুটছেন তারা। অনেক রোগীর বিস্ফোরণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হচ্ছে। অনেকে তাদের স্বজনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। না পেয়ে আহাজারি করছেন।