মুক্তির পর দর্শকদের কাছ থেকে ভালোই প্রশংসা পাচ্ছে ‘তালাশ’! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সেই অনুভূতি তুলে ধরছেন অনেক সিনেমাপ্রেমী। শুক্রবার ‘তালাশ’ মুক্তির দিনেই বৃষ্টি বাগড়া দেয়, সেই সঙ্গে সিলেট অঞ্চলে বন্যা হানা দেয়; এরপরেও ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকে অপ্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছেন বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন পরিচালক সৈকত নাসির।
প্রথম সিনেমা ‘দেশা দ্য লিডার’ বানিয়ে পরিচিতি পাওয়া নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, অপ্রত্যাশিত সাড়া পাচ্ছি। কোনো নেগেটিভ পাচ্ছি না। ফোন করে, ইনবক্সে মানুষ প্রশংসা করে বড় বড় ক্ষুদেবার্তা পাঠাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে সাউন্ডস গুড। আনন্দের বিষয় হচ্ছে, তালাশ-এ কোনো নেগেটিভ ভাইব নেই। সবখানে কিছু কিছু নেগেটিভ দিক থাকলেও তালাশে নেই।
সৈকত নাসির আরও বলেন, একটু দ্বিধায় ছিলাম, দর্শক গল্পটা ধরতে পারবে কিনা! কিন্তু দেখলাম দর্শক অনেক ম্যাচিউর। তারা গল্প বুঝতে পেরেছে। সিনেমাটি শেষ পর্যন্ত দেখছে দর্শক। অনেকেই শেষ দৃশ্য দেখে কান্না করে হল থেকে বের হচ্ছে। বন্যা কবলিত এরিয়া ছাড়া সব সিনেমা হল থেকে রিপোর্ট ভালো পাচ্ছি। কয়েকটি হল থেকে গতকাল জানিয়েছে, ঈদ পর্যন্ত চালাবে।
৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘তালাশ’। যেখানে অভিনয় করেছেন আদর আজার, বুবলী, আসিফ খানসহ অনেকেই। বুবলীর পাশাপাশি এ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের নজর কেড়েছেন চ্যানেল আইয়ের ‘ইমামি ফেয়ার হ্যান্ডসাম’ প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা আদর আজাদ। এটি তার মুক্তি প্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হলেও শুরুতেই আদর রকস্টার চরিত্রের মাধ্যমে দুর্দান্ত অভিনয় করেন।
আদর বলেন, সিনেমা জিনিসটা আমার কাছে পাগলামির মতো। এই পাগলামিটা আমি ভালোবেসে করছি। প্রথম সিনেমা দিয়েই দর্শক আমাকে যে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানাচ্ছে এতে করে আমি বেশি করে আত্মবিশ্বাসী হচ্ছি। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাদের কাছে হলে হলে ছুটে বেড়াচ্ছি। তারা আমাকে যেভাবে মুগ্ধতা দেখাচ্ছেন তাতে ভালো কাজের জন্য কমিটমেন্ট বাড়ছে।
তালাশ মুক্তির দ্বিতীয় দিনে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বগুড়া ছুটে গিয়েছিলেন পরিচালক সৈকত নাসির, নায়িকা বুবলী ও নায়ক আদর আজাদ। সেখানকার মধুবন সিনেমা হলে দর্শকদের সঙ্গে ‘তালাশ’ উপভোগ করেছেন তারা।
মধুবন সিনেমা হলের শো অপারেটর আবদুর রহমান বলেন, তালাশ স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসের দর্শদের সিনেমা। শুক্রবার ও শনিবার দর্শকদের উপস্থিতি খুব ভালো ছিল। আজ (রোববার) বৃষ্টি হচ্ছে, তবে একেবারে খারাপ বলা যাবে না। সবমিলিয়ে ভালো আছে।
নায়ক আদর বলেন, ভালো সিনেমা ও সিনেমার আর্টিস্টদের প্রতি মানুষের যে আগ্রহ সেটা বুঝতে ঢাকার বাইরে যেতে হবে। আমরা বগুড়া গিয়ে দেখলাম শত শত মানুষ আগ্রহ নিয়ে আমাদের দেখতে এসেছে। আমাদের সিনেমাটি দেখছে। এটাই আমাদের পরিশ্রমের স্বার্থকতা। দর্শকদের জন্য সিনেমাটি করা। তারা ভালোবেসে আমাদের গ্রহণ করেছে বিধায় শ্রম বিফলে যাইনি।