করের আওতা বাড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে এমন সকল নাগরিকের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন প্রস্তাব দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখন দেশে করজাল সীমিত। এর ব্যপ্তি বাড়াতে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তাদের আয়কর রিটার্ন পেশ করবে। যাদের টিআইএন আছে তারা করপোরেশন হিসেবে ট্যাক্স দেবে প্রস্তাব দিচ্ছি।”
গত ৯ জুন বাজেট ঘোষণায় করের আওতা বাড়ানোর জন্য আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে আগের সীমা বহাল রাখার প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তৃতীয় বছরের মতো ব্যক্তি খাতে করমুক্ত আয়ের সীমায় কোনো পরিবর্তন না আনলেও করের আওতা বাড়াতে কতিপয় ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা আসে।
প্রস্তাবিত বাজেটকে সাহসী বাজেট আখ্যা দিয়ে মোমেন বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফিতি ও মন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী।
“এই বাজেট কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকায় প্রত্যাবর্তনে সহায়ক হবে।”
প্রস্তাবিত বাজেটকে মধ্যবিত্তের বাজেট আখ্যা দিয়ে সরকারি দলের সংসদ সদস্য শামসুল হক বলেন, “অর্থনেতিক দিক থেকে বাংলাদেশ এখন স্বাবলম্বী। বাংলাদেশ কীভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা এখন বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে বিস্ময়।
“এ যাদু আর কিছু নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ভালবাসেন দেশের মাটি মানুষকে ভালবাসেন।”
সরকারি দলের আরেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, “কোভিড ও রাশিয়া–ইউক্রেইন যুদ্ধের যে চ্যালেঞ্জ তা মাথায় রেখে জনগণের কথা ভেবে বাস্তবভিত্তিক ও গণমুখী বাজেট দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।”
রেমিট্যান্সে প্রণোদণা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি খাদ্য ঘাটতি এবং মূল্যস্ফীতি যাতে অতিরিক্ত না হয় সেদিকে নজর রাখার পরামর্শ দেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবীর।
আলোচনায় আরও অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, আওয়ামী লীগের আবু জাহির, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, আব্দুল মোমিন মণ্ডল, নেছার আহমেদ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আলী আজম, মেরিনা জাহান, হাবিবুর রহমান।