কওমি মাদ্রাসাগুলোর প্রাণকেন্দ্র ‘উম্মুল মাদারিস’ বলে খ্যাত চট্টগ্রামের আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম (মহাপরিচালক) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মাওলানা ইয়াহিয়া। পাশাপাশি মাওলানা শেখ আহমদকে প্রধান শায়খুল হাদিস এবং মুফতি জসিম উদ্দিনকে সহযোগী পরিচালক করা হয়।
বুধবার মাদ্রাসার শূরা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে বৈঠক চলাকালীন মুফতি আব্দুস সালামকে মহাপরিচালক নির্বাচিত করার কিছুক্ষণ পরেই ইন্তেকাল করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাটহাজারী মাদ্রাসার শূরা সদস্য ও ফটিকছড়ির নানুপুর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন বলেন, মুফতি আব্দুস সালামের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক হিসেবে মুফতি ইয়াহিয়ার নাম ঘোষণা করে শুরা বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার শূরা বৈঠক চলছিল। তিনি (চাটগামী) বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। নিজের রুমে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে আমরা বৈঠকে তার নাম মহাপরিচালক হিসেবে প্রস্তাবনা তৈরি করেছি। কিন্তু ঘোষণাটি শোনানোর আগেই তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইন্তেকাল করেন তিনি।
এছাড়া মুফতি জসিম উদ্দিনকে সহযোগী পরিচালক, মাওলানা কবির আহমদকে শিক্ষা পরিচালক ও মাওলানা ওমর কাসেমীকে সহকারী শিক্ষা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- হেফাজত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেপুরী, মুফতি হাবিবুর রহমান কাসেমী নাজিরহাট, মাওলানা ইয়াহিয়া হাটহাজারী, মাওলানা ওমর ফারুক, ঢাকা মাদানি নগর মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ফয়জুল্লাহ সন্দ্বীপী।
আল্লামা শফীর মৃত্যুর পরদিন অনুষ্ঠিত শূরার বৈঠকে ঢাকার জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা নায়েবে মুহতামিম ও বেফাক যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি নুরুল আমিন ও ফেনীর মাওলানা আবুল কাসেমকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তারা আল্লামা শফীর ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর এককভাবে কাউকে মহাপরিচালক পদ না বানিয়ে তিনজনকে পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়।
এই তিনজন হলেন- হাটহাজারী মাদরাসার প্রধান মুফতি মুফতি আবদুস সালাম, সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া।
এছাড়া মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে শিক্ষা পরিচালক ও শায়খুল হাদিস হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। চলতি বছরের ১৯ আগস্ট তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ওই পদ দুটিও শূন্য হয়।